জি.এম.সিরাজ উদ দৌলাঃ নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ভূইঁয়ারহাট ৪ নং স্টিমার ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বেদেপল্লীদের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসতি স্থাপন করেছে এ বেদে সম্প্রদায়ের দল। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত এ বেদেরা শিঙা লাগানো, সাপ ও বানরের খেলা দেখানো এবং গণকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে করোনাকালীন তাঁদের ব্যবসায় পড়েছে চরম ভাটা। পূ্র্বের ন্যায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করাটাও এখন অনেকটা চ্যালেঞ্জের। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভ্রাম্যমাণ ঘর হতে বের হতে হয় তাঁদের।
জানা যায়, বাপ- দাদার ব্যবসা সহজে ছাড়তে নেই। ছোট থাকতেই বেদে সন্তানদের জড়িত করা হয় এ পেশায়। মা -বাবার কাজ থেকেই তাঁদের হাতেখড়িঁ।

কয়েক টুকরো কোরবানির মাংস সামনে নিয়ে রান্নার অপেক্ষায় আছে পরিবারের সদস্যরা। -ছবি: সুবর্ণবার্তা
১১ সন্তানের জনক বেদেপল্লীর সর্দার খোকন জানান, করোনাকালীন কিছু চাল ডাল জুটলেও ঈদ ঘিরে তেমন কিছুই পাইনি। কোরবানির ঈদে সবার ঘরে কম বেশি গোশত থাকে। অথচ অামার ঘরে ১১ টুকরো গোশতও নেই। যা পেয়েছি তাতে সন্তানদের সকলের হবে কি না জানি না, আমাদের কথা না হয় বাদই দিলাম।
এদিকে বেদেপল্লীর কুলসুমা বলেন, করোনার কারণে আমরা ঘর হতে তেমন বের হতে পারিনি। এখন মানুষ আমাদের কাজকে বিশ্বাসও করতে চায় না, তাই কাজের পরিমানও খুব একটা নেই।
স্থানীয় সমাজ সেবক ও ইউপি সদস্য আকবর হোসেন শাহনাজ এ ব্যাপারে বলেন, এ সকল বেদেপল্লীদের ভ্রাম্যমাণ বাসস্থান খুবই নাজুক। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁদের বসবাস ও জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, তাঁদের সহযোগিতা অতীতেও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো। অচিরেই আমরা বেদেপল্লীসহ আশেপাশের দরিদ্র মানুষদের জন্য গোশত সরবরাহের ব্যবস্থা করছি।