আজকে এই কোরবানির ঈদ’কে শেষ ঈদ মনে করে কেউ কিন্তু ঘরে নেই, সবাই মার্কেটে! মাস্কবিহীন! সব হুলস্থূল কারবার!
করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও,খোলার অনুমতি আছে সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাজার,গাড়ি, এনজিও এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
করোনার প্রভাবও কিন্তু কমে নাই! এখনও গড়ে ৫০ জন করে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। খোলা নাই সচেতনতার কোন দরজা।যেটা ননস্টপ ধরে রাখার ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল।
চলাফেরার অনেক নিয়ম থাকলেও এখন আর সেগুলো বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না।বাজার,যাতায়াত,খেলার মাঠে, আড্ডা সব কিছু হরহামেশাই চলছে।কেউ কাউকে ঠেকাতে পারছে না।
যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে সচেতনতা,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা,পরিবেশ, স্বাস্থ্য বিষয়ক,শৃঙ্খলা ইত্যাদি শিখতে পারত,শিক্ষকের কথা মানত,পরিবারকে শিখাতে পারত;দুঃখের বিষয় সেটাই আজ বন্ধ রাখা হচ্ছে!
আজ তারা আড্ডা দিচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়,কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছে, অনেকের স্বপ্ন ভেঙে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে! মাদকের সাথে জড়িত হচ্ছে! এরা কি এখানে করোনা চড়াচ্ছে না?
আমার মতে,করোনার জন্য সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাইমারি ব্যতীত) খোলা রাখা উচিৎ। কারণ একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীরা বাধ্য শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মানতে।
অন্য কাউকে সম্ভব না, অন্য কেউ সেটা মানছে, মানবেও না!
এই শিক্ষার্থীরাই বিদ্যালয় থেকে শিখে তাদের পরিবারকে করোনার বিষয়ে সচেতন করবে বা সচেতনতা শিখাবে।এটা সম্ভব।
আফসোস! এই সহজ বিষয়টা অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিবর্গ এখনও বুঝছে না।আমি ৯৯% শিওর তারা এ বিষয়ে আজ হোক, কাল হোক একমত হবে।
আমরা সবকিছু খুলে দিয়ে শিক্ষালয় বন্ধ করে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে যাচ্ছি। শিক্ষালয় বন্ধের বিষয়টি হতে পারে কোন আন্তর্জাতিক চাল!
সবাই সচেতন হোন,সাবধান হোন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে সোচ্চার হোন।