ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন

0
426

ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম আপনি চাইলে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করতে পারেন অথবা epassport application form PDF ফরমেটে ডাউনলোড করেও এ ফরমটি পূরণ করতে পারেন, জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে, জন্মনিবন্ধন অনলাইন চেক

ধাপ-১ Personal Information (ব্যাক্তিগত তথ্য)

প্রথমে আপনার ভোটার আইডি/জন্মনিবন্ধন অনুয়ায়ী পুরো নাম দিতে হবে, ধরুন আপনার নাম Md Mostafa Rasel তাহলে কিভাবে লিখবেন Given Name: Md Mostafa Surname: Rasel কিংবা আপনি চাইলে Given Name: Md Surname: Mostafa Rasel এভাবেও লিখতে পারবেন, এর পর জন্মতারিখ দিবেন উদাহরনঃ ২২/০৩/১৯৯৫ , জন্মভূমি আপনার যদি বাংলাদেশ জন্মগ্রহন করে থাকেন তাহলে -বাংলাদেশ দিবেন, আপনি যেখানে জন্মগ্রহন করেছেন তার জেলা উল্লেখ করতে হবে- উদাহরনঃ নোয়াখালী। জন্মস্থান দিবেন, আপনার জেন্ডার দিবেন-পুরুষ/মহিলা/৩য় লিঙ্গ, ধর্ম- আপনার ধর্ম দিবেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ দিবেন এ ক্ষেত্রে যদি আপনার ভোটার আইডি না থাকে তাহলে জন্মনিবন্ধন নাম্বার দিবেন( তবে ২০ বছরের উদ্বে অবশ্যয় জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিতে হবে, তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযোগ্য হবে), আপনার নাগরিকত্বের ধরণ – বাংলাদেশি হলে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি/ By Birth দিবেন। যদি অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব থাকে তাহলে ২৪,২৫,২৬,২৭ নম্বর চাহিদা তথ্য অনুযায়ী আপনার তথ্য দিবেন। আপনার বৈবাহিক অবস্থা দিবেন, পেশা দিবেন, যোগাযোগের নাম্বার দিবেন আপনার, এবং ই-মেইল যদি থাকে তাহলে দিবেন।  ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।

ধাপ-২ Additional Information for Official and Diplomatic Passport (সরকারি এবং কূটনৌতিক পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তথ্য)

আপনি যদি সরকারী চাকরীজিবি হন তাহলে এনওসি পেপার দিতে হবে কিংবা অফিস নিয়ম অনুযায়ী আপনার ছাড়পত্র দিবেন, ৩৩,৩৪,৩৫,৩৬,৩৭ নম্বার অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।

ধাপ-৩ Applicant’s Permanent Address (আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা)

৩৮- জেলা ৩৯- আপনার থানা ৪০-আপনার ডাকঘর ৪১ পোস্টাল কোড ৪২- যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম/শহর/বাড়ির ঠিকানা দিবেন, রাস্তা/ব্লক/সেক্টর- অবশ্যয় স্থায়ীঠিকানা দিবেন।

ধাপ-৪ Applicant’s Present Address (Bangladesh or abroad) (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা)

ধরুন আপনার বাড়ি নোয়াখালী কিন্তু আপনি ঢাকায় থাকেন বা চাকরী করেন তাহলে অবশ্যয় আপনার সেই অনুযায়ী অস্থায়ী/বর্তমানের ঠিকানা ব্যবহার করেন।

ধাপ-৫ Parental Information (মাতা-পিতার তথ্য)

আপনার পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পুরো নাম লিখুন , জাতীয়তা দিন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিন, পেশা উল্লেখ করুন , মাতার ক্ষেত্রেও এই তথ্য গুলো দিন । অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫৯,৬০,৬১,৬২ নম্বর তথ্য (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে

ধাপ-৬ Spouse Information (স্বামী/স্ত্রী তথ্য)

৬৩ নম্বর ঘরে আপনার লক্ষি স্বামী/লক্ষি স্ত্রী জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পুরো নাম লিখুন, জাতীয়তা দিন, জাতীয়পত্রের নাম্বার দিবেন, এবং পেশা দিবেন।

ধাপ-৭ Emergency Contact (জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা)

আপনার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে কিংবা আপনাকে না পেলে, যাকে জরুরি যোগাযোগের জন্য আপনি দিতে চান, তার নাম লিখুন এবং তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক তা উল্লেখ করুন, এবং তার বিস্তারিত ঠিকানা প্রদান করুন । তবে এক্ষেত্রে পিতা,মাতা, ভাই, বোন দেওয়াই উত্তম ।

ধাপ-৮ Pre-Police Clearance Information if applicable (প্রাক-পুলিশ প্রতিবেদনের তথ্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে এবং সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে অন্যথায় ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে, আপনার পাসপোর্ট যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয়, আপনি চাইলে আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করে নিতে পারেন এবং স্বারক নম্বর ও তারিখ এর ঘরে সেটি উল্লেখ করে দিতে পারেন। কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন করবেন এখানে দেখুনঃ দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করতে হবে ।

ধাপ-৯ Information for Lost/Stolen Passports (হারানো/চুরি যাওয়া পাসপোর্টের তথ্য)

আপনার যদি আগের কোন পাসপোর্ট থাকে চুরি, হারিয়ে গেছে তাহলে অবশ্যয় আপনাকে নিকটস্থা থানায় জিডি করতে হবে এবং জিডি নাম্বার, তারিখ, থানা, জেলা উল্লেখ করে দিতে হবে ।

ধাপ-১০ Bank Payment Information (ফি সংক্রান্ত তথ্য)

অনলাইনে যদি ফি প্রদান করেন তাহলে সেই ব্যাংকের নাম, ফি রেফারেন্স নাম্বার, ফি প্রদানের তারিখ, ফি জমাকৃত অর্থ উল্লেখ করুন, যদি অনলাইনে পেমেন্ট করতে না পারেন তাহলে ফি জমা দেওয়ার পর হাতে লিখে দিবেন।

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট অস্থায়ীভাবে বন্ধ আছে  

ই পাসপোর্ট ৪৮ পেইজ ৫ বছর ১৫ কর্মদিবস ২১ দিন ৪০২৫ টাকা, জরুরি ৭ কর্মদিবস ১০ দিন ৬৩২৫ টাকা, অতিব জরুরি ২ কর্মদিবস ২ দিন ৮৬২৫ টাকা।

১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট অস্থায়ীভাবে বন্ধ আছে  

ই পাসপোর্ট ৪৮ পেইজ ১০ বছর ১৫ কর্মদিবস ২১ দিন ৫৭৫০ টাকা, জরুরি ৭ কর্মদিবস ১০ দিন ৮০৫০ টাকা, অতিব জরুরি ২ কর্মদিবস ২ দিন ১০৩৫০ টাকা।

ই পাসপোর্ট ৬৪ পেইজ ৫ বছর ১৫ কর্মদিবস ২১ দিন ৬৩২৫ টাকা, জরুরি ৭ কর্মদিবস ১০ দিন ৮৬২৫ টাকা, অতিব জরুরি ২ কর্মদিবস ২ দিন ১২০৭৫ টাকা।

ই পাসপোর্ট ৬৪ পেইজ ১০ বছর ১৫ কর্মদিবস ২১ দিন ৮০৫০ টাকা, জরুরি ৭ কর্মদিবস ১০ দিন ১০৩৫০ টাকা, অতিব জরুরি ২ কর্মদিবস ২ দিন ১২৮০০ টাকা।

অনুমদিত ব্যাংক সমূহ

ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক (সোনালি ই-সেবা থেকে ও পেমেন্ট করা যাবে), ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক ।

ধাপ-১১ List of Attachments (সংযুক্ত দলিলাদির তালিকা)

আপনার প্রয়োজন মোতাবেক দলিলাদি সংযুক্ত করুন ঠিক মার্ক দিয়ে দিন ।

ই পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় কি কি কাজগপত্র সঙ্গে নিতে হবে

  • application summary/ appointment প্রিন্ট কপি ।
  • সনাক্তকরন দলিলাদি NID/ Birth Certificate ফটোকপি ।
  • ফি প্রদানের স্লিপ
  • যদি আপনার আগের পাসপোর্ট থাকে তার ফটোকপি।
  • Application Form এর প্রিন্ট কপি।
  • নির্বাচন কমিশন থেকে আপনার জাতীয়পরিচয়পত্রের ভেরিফিকেশন কপি ।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম e passport status check

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here