জামালপুরে নির্মাণের দুই বছরেও চালু হয়নি ২শ’ কোটি টাকার ফেরিঘাট টার্মিনাল। নৌ চ্যানেল ভরাট হওয়ায় ঘাটে ভিড়েনি ফেরি। অভিযোগ উঠেছে, ত্রুটিপূর্ণভাবে ড্রেজিং-এ ভরাট হচ্ছে চ্যানেল। নদীতে নাব্যতা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
৯ একর জায়গা জুড়ে দৃষ্টিনন্দন জামালপুরের এই বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট টার্মিনালটি নির্মাণ হয় ২ বছর আগে। উদ্দেশ্য ছিল ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের নৌপথে যোগাযোগ সহজ করা। তবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বছর পেরোলেও ঘাটে ভিড়েনি ফেরি। যদিও এরই মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় দুই শ কোটি টাকা।
জামালপুরে বাহাদুরাবাদ থেকে গাইবান্ধার বালাসী ঘাট পর্যন্ত ফেরি চলাচলের জন্য ২১ কিলোমিটার নৌ-চ্যানেল তৈরিতে হচ্ছে ড্রেজিং। কিন্তু নদীর বালু নদীতেই ফেলায় ভরাট হচ্ছে চ্যানেলটি। ফলে টার্মিনালে ভিড়তে পারেনি ফেরি। মেগা প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না দুইপাড়ের মানুষ।
স্থানীয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, দুই পাশে যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-টার্মিনাল করা হয়েছে এটা আমাদের জনগণের কােন কাজে আসে নাই। এটা শুধুমাত্র সরকারের লোক দেখানো, টাকা খরচের মাধ্যম মাত্র।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণভাবে ড্রেজিং হওয়ায় অকেজো হতে যাচ্ছে প্রকল্পটি। তবে আশাবাদী বিআইডিব্লওটিএ ও জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান বলেন, অনুরোধ করে বলতে চাই, এবার যখনেই ড্রেজিং হোক- ড্রেজিংয়ের বালুগুলো যাতে কোথায়ও সংরক্ষণ করা হয়। ড্রেজিংটা যেন সঠিকভাবে করা হয় এবং তা বাস্তবায়িত করা হয়।
জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, জনগণ যেন খুব সহজেই সেই নৌ-রুটটি ব্যবহার করতে পারে এবং বিআইডব্লিউটিএয়ের যে ড্রেজিং কার্যক্রম রয়েছে সেটাও যেন কার্যকর করা হয়। এবিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
বিআইডব্লিওটিএয়ের প্রকল্প পরিচালক নিজাম উদ্দিন পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, বিআইডব্লিউটিএয়ের তরফ থেকে যাতে নৌ-রুটটা দ্রুত আরও কার্যকরী করা যায়। সেটার ব্যবস্থার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ এপ্রিল, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ সুজন ফেরিঘাট ও নৌ টার্মিনালটির উদ্বোধন করেন।