নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নং আমলী আদালতে হাজির করা হয় তাকে। পরে সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় একরামুল করিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টায় চট্টগ্রামের খুলশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
একরামুলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি বিস্ফোরক ও অপহরণ মামলা, কবিরহাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট ৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া ঢাকার একটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শরীফ উল আলম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নগরের খুলশী এলাকার বাসা থেকে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, ২ হাজার ১০০ সিঙ্গাপুরের মুদ্রা ও বাংলাদেশি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে সকাল পৌনে ৭টায় সেনবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ পাহারায় তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নোয়াখালী-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান একরামুল।