খালি পেটে চিরতার পানি খাওয়া ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটা হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি পেটের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এতে কখনো কখনো অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
স্বাদে তেতো হলেও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই ভেষজ উদ্ভিদ। চিরতা আর কালমেঘ কিন্তু এক নয়, অনেকেই এটা গুলিয়ে ফেলেন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো, জ্বর কমানো থেকে শুরু করে তারুণ্য বজায় রাখাসহ নানা সমস্যায় কাজ করে চিরতার পানি।
১. চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাডের সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় অনেকটাই।
২. অনেকেরই মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়। শরীরে র্যাশও দেখা যায় অনেক সময়। চিরতা এক্ষেত্রে উপকারী। রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার পানি পান করুন উপকার পাবেন।
৩. ইদানীং লিভারের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিরতার পানি উপকারী। চিরতার পানি লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এ ছাড়া এই পানীয় লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
৪. চিরতা পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে। চিরতার পানি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। এতে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হওয়ায় অনেকটাই ফ্রেশ অনুভূতি দেবে আপনাকে।
৫. যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলেও খেতে পারেন চিরতার পানি। এটি বদহজম, অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া যদি আপনার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত চিরতার পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।