জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য: আইএমএফ

0
148

জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইএমএফের বসন্তকালীন আলোচনায় বাংলাদেশের কথা আসে গুরুত্বের সঙ্গে। বিনিয়োগের ঝুঁকি ও অর্থ-সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাতেও দেয়া হয় গুরুত্ব।

সারাবিশ্বে জলবায়ু বিনিয়োগ এ মুহূর্তে ৪ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইএমএফের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স পলিসি প্রধান প্রসাদ অনন্তকৃষ্ণান।

ভৌগলিকভাবেই ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। এতে মৌলিক অধিকার হারিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এরইমধ্যে রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবলিটি ফ্যাসিলিটির সুবিধা থেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ বাংলাদেশ এরইমধ্যে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন সহায়তা পেয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।

আলোচনায় এক বক্তা জানান, জলবায়ু গবেষণায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা জরুরি। তবে উন্নয়ন ব্যাংকের ৬০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল পর্যাপ্ত নয়।

আরেকজন জানান, জলবায়ুর প্রভাব মোকবিলায় ইনোভেশনসহ নতুন প্রকল্প নিতে হবে।

জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। সারাবিশ্বে জলবায়ু বিনিয়োগ এ মুহূর্তে ৪ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইএমএফের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স পলিসি প্রধান। তবে আইএমএফ আরও মনে করে, সারা বিশ্বের জন্য প্রতিবছরে জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন ২ ট্রিলিয়ন ডলার। আর অর্থের সরবরাহ বাড়াতে প্রস্তাব আসে ক্লাইমেট বন্ড চালু করারও।

এ অনুষ্ঠানে আরেক বক্তা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়। অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধিতে গ্রিন বন্ডে বিনিয়োগ নিতে পারে ব্যাংকগুলো।

বৈঠকে পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে গুরুত্ব পায় মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ও। যেখানে সারা বিশ্বের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব একটি অসমন্বয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

Facebook Comments Box

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here