নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনালি ধানে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।
আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় আবাদ বাড়ছে। কেন্দুয়া উপজেলার মাটি আগাম ধান চাষের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে হাইব্রিড ও উফশি জাতের রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের রোপা আমন ফলনে ১০৮ থেকে ১১০ দিন এবং উফশি জাতের রোপা আমন ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা।
উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, অতি বৃষ্টিতে আগাম জাতের ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের ক্ষেতে তেমন একটা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। কোথাও কোথাও ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে আবার কোথাও আগামী কয়েকদিনের দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। এরপর রবি ফসল চাষের জন্য দ্রুত জমি প্রস্তুত করা হবে।
কৃষক ওয়াসকরুন জানান, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম আমন ধানের চাষ করেছি। ধান কাটতে ও ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকের সংকট হয় না। কারণ এ সময়ে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েন কৃষি শ্রমিকরা। এ সময় তারা কাজের সন্ধানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছুটে যান। তাই কৃষি শ্রমিকের সংকট হবে না।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, কেন্দুয়াতে দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হয়। সে জন্য তাদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারিতে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে। ধারণা করছি, আগাম ধান ও রবি ফসলের চাষ বাড়বে। তাছাড়া এখানকার মাটি আগাম জাতের ধান ও রবি ফসল চাষের উপযোগী। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।