যাত্রী সংকটের কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল-ঢাকা রুটের সব বেসরকারি বিমান ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তবে সপ্তাহে ৩দিন চলাচল করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান। এসবের মধ্যেই শুরু হয়েছে বরিশাল বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নয়ন হলে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়বে। তবে ফ্লাইট সংখ্যা না বাড়িয়েই উন্নয়ন কাজ হলে তাতে কোনো লাভ হবে না বলে দাবি যাত্রীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুরোদমে চলছে বরিশাল বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ। নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি চলছে পুরাতন টার্মিনাল ভবনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও। কোথাও চলছে নতুন মেশিন স্থাপন কোথাও বা পুরাতন মেশিন করা হচ্ছে মেরামত।
কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতিক কনস্ট্রাকশনের স্থপতি মো. ইসতিয়াক হোসেন জানান, টার্মিনাল সংস্কার, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, ২টি থেকে বিমান পার্কিং স্ট্যান্ড ৪টিতে উন্নীত, অত্যাধুনিক রাডার স্থাপন, কার পার্কিং পয়েন্ট বিন্যাসসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এসব কাজের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
১৯৯৫ সালে শুরু হয় ঢাকা-বরিশাল রুটে বিমান চলাচল। তবে যাত্রী সংকটের কারণ দেখিয়ে কয়েকদফা বন্ধ ও চালু করার পর, ফের চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বেসরকারি সব বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সপ্তাহে ৩দিন চলাচল করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
যাত্রীদের প্রশ্ন, ফ্লাইট কমিয়ে উন্নয়নের নামে টাকা খরচ কার স্বার্থে?
বাশার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমদের ফ্লাইট আছে সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন। বেসরকারি বিমানগুলো যদি না আসে তাহলে এ উন্নয়ন দিয়ে কি হবে বুঝতে পারছি না।’
রফিক নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন হোক আমরা উন্নয়ন চাই। কিন্তু উন্নয়ন হলো ঠিকই কিন্তু বিমান সংখ্যা বাড়ল না। তাতে যাত্রীদের কোনো লাভ হবে না।’
তবে বিমানবন্দরের উন্নয়ন হলে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়বে বলে দাবি বরিশাল বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রহিম তালুকদার।
১৯৬৩ সালে প্ল্যান্ট প্রটেকশন বন্দর হিসেবে বরিশালে ২ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৮৫ সালে ১৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দরে রূপ দেয়া হয়। এর ১০ বছর পর শুরু হয় বিমান চলাচল। বর্তমানে একশো ফুট প্রশস্ত ও ৬ হাজার ফুট রানওয়ে এ রয়েছে বিমান বন্দরের।