‘কেউ যদি নির্বাচন করতে না চান তাহলে তিনি এ অধিকারটি রাখলেন না। তবে কেউ ভোট দিতে চাইলে তাকে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। ভোটে বাধা ও ভোট দিতে বাধ্য করা দুটিই মানবাধিকার লঙ্ঘন।’ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সবাইকে ভোটে আনতে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব ছিল না বলে আমি মনে করি। কারণ কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের নিজের ব্যাপার। ভোট দেয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার।
তিনি বলেন, বাধ্যতামূলকভাবে ভোট দিতে হবে আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো নিয়ম নেই। সে কারণে আমি বলব কেউ যদি ভোট দিতে না চায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। এটা সত্য কেউ যদি ভোট দিতে চায় তাকে বাধা প্রদান করা আইনের বরখেলাপ। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ যদি ভোট দিতে না চায় তাকে যদি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাও লঙ্ঘন। আমরা এ বিষয়ে নজর রাখছি।
মানবাধিকার কমিশনের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।