লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক, বিপদগ্রস্ত, অসহায় এবং পাচারের শিকার ১৪৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহনকারী বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে ফিরে আসার পর প্রত্যেক বাংলাদেশিকে বাড়ি ফেরার খরচ হিসেবে ৫ হাজার ৮৯৬ টাকা করে দেয়া হয়েছে। নিজ এলাকায় ফিরে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের কাছে লিবিয়ায় আটক থাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার (২৭ নভেম্বর) লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার লিবিয়ার অভিবাসন অধিদফতরে বাংলাদেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের বিদায় জানান। এ সময় আবুল হাসনাত অবৈধ অভিবাসনের নানা ঝুঁকির কথা তুলে ধরনে।
বাংলাদেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
আগামী বুধবার (২৯ নভেম্বর) এবং মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুইটি ফ্লাইটে যথাক্রমে ত্রিপলী এবং বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ৩২০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে দূতাবাস সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, লিবিয়ায় বিপদে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে পাঠাতে আইওএম এবং লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূতাবাস একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী এবং আইওএম লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।