প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়ে গৃহীতব্য কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নে পরামর্শ প্রদানের মন্ত্রিসভা কমিটির আজ রোববারের (১০ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে নেপাল সরকার শীত মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে গ্রীষ্মকালে নেপাল ভারতের সঞ্চালন বিষয়ক অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট দ্রুত রপ্তানি করতে চায়। এজন্য আজ অর্থ বিভাগের অডিটোরিয়ামে মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগকে সরকার টু সরকার চুক্তির খসড়া তৈরি করে পরে বৈঠকে এ প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নে জয়েন্ট ভেঞ্চার (জেভি) প্রকল্প, উৎপাদন খাতে আঞ্চলিক বিনিয়োগ, প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়ে গৃহীতব্য কার্যক্রম যথা দ্রুত বাস্তবায়নে পরামর্শ প্রদানের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ওপরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ মন্ত্রী সভা বৈঠকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, এ প্রতিবেশী দেশের বিদ্যুৎ আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অবশ্য ভারত এবং নেপালের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ব্যবহারে মাধ্যমে জন্য ট্যারিফ এখন ঠিক করতে পারেনি। আগামী বৈঠকে এই ট্যারিফও ঠিক হবে পারে।
নেপাল থেকে কখন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে নেপাল থেকেই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব রয়েছে।
এ বৈঠকে ভারতের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল) চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনতে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে একটি চুক্তি হতে হবে। বর্তমানে ভারতের জাতীয় গ্রেড থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট এবং আদানি গ্রুপের পাওয়ার প্লান্ট থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।