প্রায় একবছর আগে বিশ্বে ঝড় তুলে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিল চ্যাটজিপিটি। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবক্সটি তৈরি করেছিল ওপেনএআই নামক একটি সংস্থা। সেই ওপেনএআই’র বোর্ডই এবার সবাইকে অবাক করে সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিল।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআই বোর্ড তাকে অপসারিত করেছে বলে জানা গেছে। তার এই পদত্যাগের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে।
মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ প্রাপ্ত সংস্থার বোর্ডটি স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেয়ার পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অল্টম্যানের ওপর আর ভরসা করা যাচ্ছে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সংস্থার পর্যালোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে, বোর্ডের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন না স্যাম অল্টম্যান।
মাইক্রোসফট সহায়তায় তৈরি এই সংস্থা আর অল্টম্যানের ওপরে আস্থা রাখতে পারছেন না অভিযোগ করেই বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৩৮ বছর বয়সেই এই সংস্থার সিইও পদে বসে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন অল্টম্যান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের মাধ্যমে চ্যাটবক্স তৈরি করে গোটা বিশ্বের ক্রিয়েটিভিটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্টের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির অবয়ব থেকে শুরু করে গল্প, কবিতা, ছবি আঁকা সবই চোখের পলকে হয়ে যাচ্ছিল। মানুষ যা ভাবছিলেন সেটাই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স করে দেখাচ্ছিল। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বাজারে এনে অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অল্টম্যান।
এদিকে অল্টম্যানকে সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর চ্যাটজিপিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
পদত্যাগের পর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গ্রেগ লেখেন, ‘আট বছর আগে আমার ফ্ল্যাট থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা যা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। একসঙ্গে আমরা অনেক কঠিন এবং ভালো সময় কাটিয়েছি। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি বলেই সাফল্য পেয়েছি। তা না হলে এটা অসম্ভব হব। তবে আজ যা খবর শুনলাম, তার পর আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’