গাইবান্ধায় চলতি মৌসুমে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় আমনের ফলন অনেক ভালো। এরইমধ্যে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। মাঠের ৫ লাখ মেট্রিক টন সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোনালী ধানে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। চারদিক সোনালি ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠভরা ফসল দেখে খুশি জেলার কয়েক লাখ কৃষক। শুরু হয়েছে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। মাঠের ৫ লাখ মেট্রিক টন সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রতি বছর আমন মৌসুমে গাইবান্ধায় বন্যাসহ নানা দুর্যোগে ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ বছর বন্যাসহ তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
এদিকে ফলন ভাল হলেও কৃত্রিম সেচ ও অতিরিক্ত মূল্যে তেল ও সার দিয়ে চাষাবাদ করায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত এ অঞ্চলের কৃষকরা।
সদর উপজেলার পুলবন্দি এলাকার ধান চাষী মনজু মিয়া জানান, এবার বন্যা না হওয়ায় সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মন পর্যন্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে।
জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, কৃত্রিম সেচ ও অতিরিক্ত মূল্যে তেল-সার দিয়ে চাষাবাদ করায় উৎপাদন খরচ বেশী হয়েছে। সরকারিভাবে ধান দিতে পারলে খরচ উঠানো সম্ভব হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. রোস্তম আলী জানান, এ বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী আমন ধান চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে প্রতি বছরের চেয়ে ভাল। ধানের যে বাজার বর্তমানে রয়েছে, তাতে কৃষকরা লাভবান হবেন ।
জেলার সাত উপজেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন।