শীত আসতে না আসতেই বাড়িতে বাড়িতে এখন ভাইরাল ফিভার। সঙ্গে আবার সর্দি-কাশি। এমন অবস্থায় অনেক ওষুধ খেয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এদিকে দিন দিন কমছে ইমিউনিটি পাওয়ার। সুস্থ থাকতে কী করবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে এই সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে তুলসী পাতা ভাবছেন কীভাবে?
তাহলে চলুন আজকের প্রতিবেদনে বাঙালিদের প্রত্যেকের বাড়িতে থাকা, এই তুলসীর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা যাক। তুলসী, আয়ুর্বেদে এটি একটি বিশেষ ঔষধি গাছ। এর পাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে বহু ঔষধি গুণাগুণ। যা আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে। এর পাতা চিবিয়ে খান বা এর শরবত বানিয়ে পান করুন, তুলসী আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সব উপায়েই উপকারী। এর পাতা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, বিশেষ করে এই পরিবর্তনশীল ঋতুতে যখন শীত পড়তে শুরু হয়, তখন তুলসী খেলে সর্দি, কাশি ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয় যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এই শরবত বানানোর পদ্ধতি :
উপকরণ : তুলসী পাতা, ১৫-২০ টা আদার টুকরো, ১ ইঞ্চি গোলমরিচ, ৪-৫ দানা লবঙ্গ, ২-৩টি দারুচিনির ছোট টুকরো, পরিমাণমতো পানি, ২-৩ চা চামচ মধু (স্বাদ অনুযায়ী)।
পদ্ধতি : প্রথমে তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে মিহি করে কেটে নিন। অন্যদিকে আদাও ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর একটি প্যানে পরিমাণ মত পানি ঢেলে ফুটিয়ে নিন। বার ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ এবং দারুচিনি মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট ফুটাতে থাকুন। পানি ফুটে গেলে তুলে ফেলুন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে শরবতটি ঢেকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার এটি একটি কাপে ফিল্টার করুন। তারপর আপনি চাইলে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
এই শরবত প্রতিদিন দুবেলা করে পান করলে ভাইরাল ফিভার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
তবে এতে বিশেষ কিছু টিপস রয়েছে-
সর্দি ও কাশি থেকে মুক্তি পেতে আপনি এটি দিনে দুবার পান করতে পারেন। আপনি তুলসীর শরবতে সামান্য হলুদও যোগ করতে পারেন। কারণ, হলুদে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আপনার যদি কোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তুলসীর কাড়া পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। গর্ভবতী মহিলা ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের চিকিৎসকের পরামর্শ করার পরেই তুলসীর শরবত খাবেন।