৮০ ভাগ মানুষের কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস এই তিনটি রোগের কারণে যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না থাকে আর যদি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকে তার চিকিৎসা করা না হলে কিডনি নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
কিডনির সমস্যা এবং এর জটিলতা নিয়ে কথা বলেছেন টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার।
তিনি বলেন, কিডনি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একটি একিউট কিডনি ইনজুরি অন্যটি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। হঠাৎ করে আক্রান্ত হলে তাকে একিউট বলা হয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কিডনির কার্যকারিতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে গেলে তাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বলা হয়।
কিডনি রোগের উপসর্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. প্রস্রাব কম বা বেশি হওয়া
২. প্রস্রাবে জ্বালা করা অথবা প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা
৩. ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ হওয়া
৪. কোমরের দুই পাশে বা তলপেটে ব্যথা অনুভব করা
৫. শরীরের বিভিন্ন অংশে পানি জমা বা হাত-পা মুখ ফোলাফোলা ভাব
৬. শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া
৭. বেশি ক্লান্তি লাগা বা বমি বমি ভাব
কিডনির সমস্যা হলে শরীর থেকে প্রোটিন বেশি বের হয়ে যায় তাই প্রস্রাবে ফেনা ভাব হয়। প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে। কিডনির সমস্যার কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে। তখন মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস শনাক্ত না হলে অথবা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কিডনি ভালো রাখতে হলে অন্য রোগ আছে কিনা সেটা শনাক্ত করে চিকিৎসা করা।
ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে,
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ব্যথানাশক ওষুধ অথবা এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না
দীর্ঘদিন ধরে ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথর বা প্রস্টেটের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা শুরু করতে হবে কারন এ-ই অসুখগুলো বা রোগগুলো ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে কিডনির ক্ষতি করে।
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। নিয়ম করে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।