খালি পেটে আনারস খেলে কী হয়?

0
30

কৃষি বিজ্ঞানের উন্নতিতে এখন সারা বছরই পাওয়া যায় টক স্বাদের রসালো ফল আনারস। অসংখ্য পুষ্টিগুণে ভরা আনারস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। কিন্তু ফলটি কি খালি পেটে খাওয়া ভালো, এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা জানেন?

আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এছাড়া এতে থাকা অন্যসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি কমাতে, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।

সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে কমলা রঙের ফল আনারসের জুড়ি মেলা ভার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়ে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।

গবেষকরা বলছেন, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগ আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্‌রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।

ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড় গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খালি পেটে সকালবেলা আনারস খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি সকালের নাশতার পর ফল হিসেবে আনারস খান তাহলেও মিলবে অসংখ্য উপকারিতা। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি নিয়মিত ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here