পক্স হলে কী করবেন

0
93

শীত শেষ হয়ে আসছে। চারদিকে বিরাজ করছে বসন্তের আগমনী বার্তা। রুক্ষ বাতাসে নানা রকম রোগ-বালাই যেন ঘরে ঘরে এখন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অসুখের আনা গোনাও বেড়ে যায়। জল বসন্ত বা চিকেন পক্স ছোট-বড় সবাইকে কাবু করে দেয়।

জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হলে অনেকে কুসংস্কার ছড়ান। এটা খাওয়া যাবে না। ওটা করা যাবে না। এসব চিন্তা করে রোগীকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেন অনেকে। কিন্তু চিকিৎসকের ব্যাখা অনুযায়ী চললে খুব দ্রুত রোগ মুক্তি মিলবে। তাহলে জেনে নেয়া যাক পক্স হলে কী করবেন।

১. শরীর ঠান্ডা রাখতে গোসল করা যাবে এসময়। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো।

২. নিমের পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান এটি নির্মূল করতে সাহায্য করে।

৩. এ সময় বারবার জ্বর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাপ্তবয়স্করা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে।

৪. ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিন, এতে ত্বকে খানিকটা হলেও আরাম পাওয়া যাবে।

৫. একটু কষ্ট হলেও দুবেলা জামা-কাপড় বদলানো উচিত। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।

৬. এ সময়ে সুতি ছাড়া অন্য কাপড়ের পোশাক পরবেন না, তাতে চুলকানি বা অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।

৭. অতিরিক্ত চুলকানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।

৮. চিকেন পক্স হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং সবজি খেতে হবে।

৯. এমন কোনো খাবার খাবেন না যা থেকে রোগীর পূর্ব থেকে শরীরে অ্যালার্জি বা চুলকানি হতো। চিকেন পক্সের ক্ষত খোঁটা যাবে না। খুঁটলে স্থায়ীভাবে দাগ বসে যাবে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ছয় মাসের মধ্যে দাগ এমনিতেই চলে যায়। এজন্য মুখে ডাবের পানি বা প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

১০. ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর চিকেন পক্স হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। কেননা ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের সংবেদনশীলতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় খুবই কম থাকে এবং এদের সংক্রমণ বা সংক্রমনের সাথে আরো বিভিন্ন রোগের ও উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here