ঘুমের সমস্যা দূর করার উপায়

0
29

ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কেননা ঘুমই সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের নিশ্চিত ক্ষতিও হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন পর্যাপ্ত ঘুমানোর।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজের চাপ বা সময়ের অভাবে বহু মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। আবার কেউ কেউ জেগে থাকেন স্বেচ্ছায়। এমন কিছু মানুষ আছে যাদের ঘুম আসে না। বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে করতে পুরো রাত পাড়! কিন্তু তাও ঘুমের দেখা নেই।

আমরা সবাই জানি, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। এছাড়া ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, ক্লান্ত লাগে, প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। আর ভালো ঘুম আমাদের শরীরকে ন্যাচারালি হিলিং ও রিপেয়ার করে। তাই চলুন জেনে নিই কীভাবে ঘুমের সমস্যা দূর করা যায়-

ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা
আমাদের শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম নামক একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা আছে, যাকে দেহঘড়িও বলা হয়। এটি শরীরকে দিনের বেলা সক্রিয় রাখে এবং রাতের বেলা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুমাতে যাওয়ার ফলে দেহঘড়িতে একটি রুটিন তৈরি হয়। এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঘুমের সমস্যা খানিকটা দূর হবে।

ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শুধু যে শরীর ঠিক রাখে তা নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে প্রশান্তির ঘুমও দেবে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনসমনিয়া সমস্যাগ্রস্ত কিছু মানুষকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো হয়। এসময় তাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। এ কারণে প্রতিদিন মিনিমাম ৪০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।

মেডিটেশন
মেডিটেশন শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অনিদ্রা দূর করা অন্যতম উপায়। এটি আপনার স্ট্রেস কমায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ২০১১ সালে স্টাডি ট্রাসটেড সোর্স এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন ইনসমনিয়া দূর করতে এবং ঘুমের প্যার্টানে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন করার প্র্যাকটিস করুন। কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ল্যাভেন্ডার অয়েল থেরাপি
অনেক বছর ধরেই অ্যারোমাথেরাপি বেশ জনপ্রিয়। ল্যাভেন্ডার অয়েল মুড ইম্প্রুভ করতে, মাথা ব্যথা কমাতে এবং ভালো ঘুমের সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বালিশে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে রাখতে পারেন। সামান্য অ্যাসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ঘাড়ে, পিঠে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।

মেলাটোনিনযুক্ত খাবার
আমাদের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি হরমোন যার নাম ‘মেলাটোনিন’। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে মেলাটোনিন প্রাকৃতিক উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়। ডিম, দুধ, মাছ, কলা, বাদাম, মাশরুম, আখরোট এগুলো মেলাটোনিন বৃদ্ধি করতে হেল্প করে। দুশ্চিন্তা না করা, স্ক্রিন টাইম লিমিটেড রাখা- এগুলোও আপনাকে সাহায্য করবে ঘুমের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ঠিক রাখতে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here