আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে সীমান্তবর্তী এলাকায় সোমবার (১৮ মার্চ) পাকিস্তানের বিমান হামলায় তিন শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, এ হামলার জবাবে পাকিস্তানের বোরকি জেলার সীমান্ত এলাকায় আফগানিস্তান থেকে গুলি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা তাদের আফগান সীমান্তবর্তী নিজস্ব এলাকা উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এতে আট ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। তাদের দাবি, গত ১৬ মার্চ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হওয়া আত্মঘাতী বোমা হামলার পেছনে ওই ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত রয়েছে।
এর আগে, শনিবার (১৬ মার্চ) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির সাত সেনাসদস্য নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।
পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ছয় সন্ত্রাসীর একটি দল ওই হামলা চালায়। বিস্ফোরকবাহী গাড়ি নিয়ে নিরাপত্তাচৌকিতে ঢোকে তারা। এরপর বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে ইসলামাবাদ-ভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইহসানুল্লাহ টিপু বলেছেন,
উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তানি তালেবানদের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তালেবান সরকার এই নতুন অভিযানের বিরুদ্ধে ‘বিশেষভাবে শক্তিশালী’ কোনো প্রতিশোধ না-ও নিতে পারে। এর পরিবর্তে তারা পাকিস্তানি তালেবানকে (টিটিপি) ইসলামাবাদের সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে প্ররোচিত করতে পারে।
এদিকে সোমবার (১৮ মার্চ) পাকিস্তানের এই হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছেন তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র।
এক বিবৃতিতে তালেবান সরকার জানিয়েছে,
পাকিস্তানের এ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র অব আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষীবাহিনী পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত। তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে।