ইসরাইলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) সব রোগীরই মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরাইলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেয়ায় হাসপাতালটি একটি ‘বড় কারাগার’ এবং ‘গণকবর’ হয়ে উঠেছে।
আল জাজিরাকে সালমিয়া বলেন, ‘আমাদের কিছুই নেই। জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে।’
হাসপাতালের অবস্থা নিষ্ঠুর ও বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালকে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে।
এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছে, হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, তারা হাসপাতাল চত্বরে মৃতদেহ দাফন করছেন।
এদিকে গাজার দক্ষিণেও হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান হবে; এমনকি গাজার দক্ষিণ দিকেও যাব আমরা।’
তিনি আরও বলেন, এ অভিযান এমন সময় শুরু হবে যখন সময়, স্থান এবং অবস্থা আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।