অন্ধকার নয়, ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন

0
77

ভোটের মাধ্যমেই নতুন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে; অস্ত্র হাতে নয়, রাতের অন্ধকারে নয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান। এ সময় তপশিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা অন্তত এ জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময়মতো তপশিল ঘোষণা করেছে।

সংলাপে বাধা বিএনপির পূর্বশর্ত, লু’কে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এ যে অপরাধ করেছে জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি, অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা ও জানমালের ক্ষতি করেছে, সে জন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে নির্বাচন হবে, জনগণ ভোট দেবে। কারও যদি সাহস থাকে এসে নির্বাচন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার আস্থা থাকে, তাহলে ভোট পাবে। জনগণ যাকে ভোটে নির্বাচিত করবে, সে-ই সরকার গঠন করবে।

বিএনপি ও তাদের শরিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এই আগুন নিয়ে খেলা এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। আগেও তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, পারেনি। এটাও তারা বানচাল করতে পারবে না। যারা নির্বাচন বানচালের জন্য অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই।

বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের ধরিয়ে দিন। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার আর কোনো ছাড় নেই।

দেশের রাজনীতিতে এখন অতিবামপন্থি ও অতিডানপন্থিরা মিশে একাকার হয়ে গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন কে যে কার আদর্শ বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে এখন আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? আর নির্বাচন বানচাল করতে হবে। তার মানে হলো, যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তারপর নিজেদের রাজনৈতিক নেতা বানানো, নির্বাচন নামে প্রহসন।

জিয়াউর রহমান ও এরশাদের ক্ষমতা দখল আদালতে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। তাদের হাতে গড়া দলের কাছ থেকে শুনতে হয় নির্বাচনের কথা! বিএনপির আমলে যত নির্বাচন হয়েছে, মানুষ ভোটই দিতে পারেনি, ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।

টানা তিন মেয়াদে সরকারের সুফল জনগণ ভোগ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও দেখলাম ১৮-১৯টি কারখানা ভাঙচুর-আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কত শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে শ্রমিকদের? বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে কিছুই বাড়ায়নি। যেটুকু করার আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here