উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থী হতে মানা

0
185

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থারও কথা বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনাটি জানাতে এরইমধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির নির্ভরশীল একটি সূত্র।

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সে অনুযায়ী, নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিষয়টি জানাতে শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

এদিন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এবারও অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের মতো নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনবিরোধী অবস্থান নেয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান নিতে হয়েছে। তাই এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে এ জন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

দফতর সূত্রে জানা যায়, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেয়া হয়নি। কিন্তু ভোট শুরুর পর দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোটে দাঁড় করিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এটা পছন্দ করছেন না দলের প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি কঠোরভাবে প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নিয়ে আজ সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকও হয়েছে।

এতে দফতর সম্পাদক ও উপদফতর সম্পাদকরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতর সম্পাদককে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়দের প্রার্থী হওয়া মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। তাদের দলীয় প্রধানের নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি দেয়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের কথা বলার নির্দেশনা দেন তিনি।

Facebook Comments Box

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here