সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক বৃদ্ধার কাছে এক টাকা কম থাকার কারণে তাকে বহির্বিভাগ থেকে টিকিট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরজন্য চিকিৎসা না পেয়েই ওই বৃদ্ধা বাড়ি ফিরে যান।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম ঠিকানা তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী নাদিম ইসলাম শান্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ঠান্ডা-জ্বরের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট কাউন্টারে যান এক বৃদ্ধা। তিনি চার টাকা দিলে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। পরে ওই নারী চিকিৎসা সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করি। কর্তৃপক্ষকে বলি সরকারি অন্য হাসপাতালে টিকিটের মূল্য ৩ টাকা কিন্তু আপনার নিচ্ছেন পাঁচ টাকা। আপনাদের এখানে কোনো নির্ধারিত তালিকা নেই কেন? টিকিট কাউন্টারের লোকজন বলে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় আমরা ওই তালিকাটি ছিড়ে ফেলে দিয়েছি।
শান্ত আরও বলেন, প্রতিবাদ চলাকালীন সময় তারা রোগী থাকতেই টিকিট দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং অনেক রোগী টিকিট না পেয়েই চলে যায়।
সরেজমিনে হাসপাতালে দুপুর দেড়টায় গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগের রোগী দেখার জন্য একটার আগেই টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কতগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আতাহার আলী বলেন, আজ নারী ও শিশু টিকিট বিক্রি হয়েছে ২০৫টি ও পুরুষ বিক্রি হয়েছে ৭০টি।
কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আতাহার আলী বলেন, আমাদের এখানে টিকিট বিক্রির জন্য নির্ধারিত লোক নেই। আমি অফিস সহায়কের পাশাপাশি টিকিট বিক্রির কাজ করি। তবে এক টাকা কম থাকায় রোগী ফেরতের কথা অস্বীকার করেন। বাড়িতে টিকিটের টাকা নিয়ে যাওয়া হয় এবং মাস শেষে হিসাব করে টাকা জমা দেন বলে জানান তিনি।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম জানান, আমি ট্রেনিংয়ে আছি, ১ টাকার জন্য রোগী ফেরত যাবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। আমি কাউন্টারে বলে দিয়েছি ৩ টাকা ৫ টাকা যদি কারও সমস্যা থাকে বিনা টাকায় রোগী দেখতে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো লোক নেই। অফিস সহায়ক দিয়ে কাজ করাতে হয়। কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তার জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হবে।