কেটে ফেলা চুলের বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

0
37

মহান আল্লাহ মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তার দান। এর মধ্যে চুল অন্যতম। যার চুল পড়ে গেছে — সেই বুঝে চুলের কদর। তাই সবার উচিত মহান আল্লাহর এ অমূল্য নিয়ামতের যথাযথ সম্মান করা।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সাগরে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি এবং তাদের উত্তম রিজিক দান করেছি। আমি যাদের সৃষ্টি করেছি, অনেকের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ৭০)

অনেক সময় চুল কাটতে হয় বা পড়ে যায়। এ পড়ে যাওয়া বা কেটে ফেলা চুল যত্রতত্র ফেলে দেয়া উচিত নয়। এতে এ অঙ্গটির অপব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। বাতাসে উড়ে খাবারে বা পানিতে মিশে যেতে পারে। এর সঙ্গে লেগে থাকা জীবাণু পেটে গিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

সবার উচিত কেটে ফেলা বা ঝরে যাওয়া চুল যথাযথ সংরক্ষণ করা। ইদানীং অনেকে চুল সংরক্ষণ করে বিক্রি করে। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটিও হারাম। এটি ইসলাম সমর্থন করে না।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি কি পৃথিবী সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে, জীবিত ও মৃতদের?’ (সুরা মুরসালাত, আয়াত : ২৫-২৬)

তাফসিরে কুরতুবিতে ওপরের আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে: এ আয়াতের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা এবং মানুষের চুল ও পড়ে যাওয়া অঙ্গ দাফন করার বিধান প্রমাণিত হয়।

ইমাম আহমদ (রহ.) কে এক ব্যক্তি কাটা চুল ও নখের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কী দাফন করব, নাকি ফেলে দেব?’ তিনি বলেন, ‘দাফন করে ফেলো।’ লোকটি বলল, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছু পেয়েছেন?’ তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এগুলো দাফন করে ফেলতেন।’ (আল মুগনি, ইবনে কুদামা : ১/১১০)

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here