অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা থেকে বাদ যায়নি শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত স্কুল, মসজিদ, শপিংমলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এবার তাদের রামাল্লা অভিযানে লক্ষ্য হতে পারে মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদক ইমরান খান জানিয়েছেন, এক গোপন সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন, ফিলিস্তিনি শহর রামাল্লায় ইসরায়েলের অভিযানের নতুন লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন হামলার নেপথ্য কারণ জানা যায়নি। প্রতিবেদক জানিয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন এসব আর্থিক ইউনিট থেকে সিসিটিভি খুলে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা।
এসব ইউনিটে কী পরিমাণ অর্থের বিনিময় হয় সেই হিসাবও হাতিয়ে নিয়ে গেছে সেনারা। ধারণা করা হচ্ছে এসব মানি এক্সচেঞ্জের শপে ব্যাপক সহিংসতার অংশ হিসেবে আগুন ও বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ইতোমধ্যে তারা সেখানে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হচ্ছে।
এদিকে, গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান তীব্রতর ও বিস্তৃত হয়েছে।
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আল-মাগাজিতে বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের এল আমাল হাসপাতালের কাছে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় সবশেষ হতাহত নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহতদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজারো বাসিন্দা কেন্দ্রীয় গাজা ও খান ইউনিস ছেড়ে পালিয়েছে।