সারা বিশ্বে প্রতিদিনিই গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্ববাসী গাজায় যুদ্ধবিরতি দাবি তুললেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই গা ভাসিয়েছে পশ্চিমা সাত শক্তির রাজনৈতিক জোট জি-৭ (গ্রুপ অব সেভেন)। বুধবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
বুধবার জাপানের টোকিওতে জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বৈঠকের অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল গাজা যুদ্ধ। বৈঠক শেষে এই যুদ্ধ নিয়ে তারা একটি যৌথ বিবৃতিও দিয়েছেন। সেখানে মানবিক কারণে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথা বললেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি তারা। যদিও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিদিনিই শত শত মানুষ নিহত হচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশ, বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতে সেখানে যুদ্ধে সাময়িক বিরতির পক্ষে মত দিয়েছেন জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এর আগে গত শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আরব বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তাকে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। তারা পুনরায় সংগঠিত হবে এবং ইসরায়েলে আবারও হামলা চালাবে।
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা না বললেও গাজায় ত্রাণসহায়তা দিতে এবং হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি করতে দুপক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে মার্কিন প্রশাসন।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা এক মাসের অব্যাহত হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু রয়েছে।