গাজা দখলের পাঁয়তারা করছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যম এবিসির এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের হাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। আমাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকায় হামাস ইসরায়েলে অকল্পনীয় মাত্রায় হামলা চালিয়ে আসছে।
গাজায় জালের মতো বিস্তৃত সুড়ঙ্গের ভেতরে কী আছে
তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এজন্য কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা গাজার বিভিন্ন এলাকায় সাময়িক যুদ্ধাবস্থা শিথিল করেছি। আমরা তাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি। এজন্য সেখানে আমরা জরুরি পণ্য ও মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছি। যাতে করে তারা আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয়।
একদিকে ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চাইলেও অন্যদিকে দেশটিতে তারা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় মানবিক অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।
গাজা দখলের পাঁয়তারা করছে ইসরায়েল
গাজায় জালের মতো বিস্তৃত সুড়ঙ্গের ভেতরে কী আছে
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে এই অমানবিক ভোগান্তি বন্ধ করতে এবং গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে। গাজার দুঃস্বপ্ন একটি মানবিক সংকটের চেয়েও বেশি। এটি একটি মানবতার সংকট।
গুতেরেস বলেন, বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাচ্ছে। গাজায় এখন এমন ঘটনাই ঘটছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে এখনই মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করা জরুরি। এক্ষেত্রে সব পক্ষের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা গাজায় আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি বলেও জানান তিনি।