শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে: তথ্যমন্ত্রী

0
101

সন্ত্রাস নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

বিএনপির হরতাল-অবরোধ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন,
অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি পোড়ায়, মানুষের ওপর আক্রমণ করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে তাদের গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া এটা আমাদের দায়িত্ব।

যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পর মায়াকান্না করে, এতো গ্রেফতার কেন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তাদের কাছে প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হতে পারে? গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করল, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালাল, ১৯টি অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো, শতাধিক পুলিশ আহত হলো এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করল, ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এগুলো যারা করে তারা তো জঘন্য সন্ত্রাসী, হিংস্র হায়েনার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
সারা দেশে বিএনপি সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে। এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই।

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার কথা বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন,
আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছিল। আমার শরীরে এখনও ৪০ থেকে ৪২টি স্প্লিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্লিন্টার, কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছে। তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিল। এখনও তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সাংবাদিক মোস্তফা হোসেইন উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোশিয়েনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল নুর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ‘ব্রিগেড ৭১’ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রাজু, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার, নৌ কমান্ডো মোশাররফ হোসেন, আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ ও সাংবাদিক শামীম আক্তার চৌধুরী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির রূপরেখার ওপর আলোকপাত করেন।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here