চট্টগ্রামে হেভিওয়েট প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে। স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে কারও কারও। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে শিক্ষকতা থেকে দুই কোটি টাকা আয়। চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে নাগরিক সমাজের দাবি যাদের অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বেড়েছে দুদকের উচিত তাদের তদন্ত করা।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ভোটের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর)। নির্বাচনী উত্তাপ এখন দেশের সব পাড়া মহল্লায়। কোন প্রার্থী হেভিওয়েট, ভোটের মাঠে কে এগিয়ে থাকবেন- সবখানে এমন আলোচনার মধ্যে মানুষের আগ্রহ প্রার্থীদের হলফনামায়। কোন প্রার্থী কতো ধনী তাও জানার আগ্রহের কমতি নেই।
হলফনামা বিশ্লেষণে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক আসনের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ গুণ। ২০১৮ সালে স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা। এবারের হলফনামায় তা ৬৭ লাখ ৩৪ হাজার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে নজরুলের বার্ষিক আয় প্রায় ৫২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৭ টাকা।
গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ২১ গুণ। একই সঙ্গে তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০ টাকা। ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর শুধু কৃষি থেকে আয় বেড়েছে ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া গত ৫ বছরে তার আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম–১৫ সাতকানিয়া–লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর শিক্ষকতা থেকে আয় দুই কোটি টাকা। আর চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৯ গুণ বেশি।
এদিকে প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান করা জরুরি বলে মনে করেন রাজনীতি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।
চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) চট্টগ্রামের সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘তাদের এতো টাকা কোথা থেকে এলো জানতে হবে। কী করে এতো সম্পদের মালিক হলেন। তাদেরকে নজরদারিতে আনতে হবে।’
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১২২ জন।