নোয়াখালীতে জামানত হারিয়েছেন যারা

0
122

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয়টি আসনের মধ্যে ৩২ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নোয়াখালী-২ আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন; জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০৩টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।

এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকে ৭৫২ ভোট, কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার হাতঘড়ি প্রতীকে ১৬১ ভোট, জাসদের নইমুল আহসান মশাল প্রতীকে ৩৬৫ ভোট, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ টেলিভিশন প্রতীকে ২১৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৯ ভোট।

নোয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন; জামানত হারিয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭ জন। নির্বাচনে ১৪৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৪৬৭টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন চাকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩২ ভোট, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪৮ ভোট, জাসদের জয়নাল আবেদীন মশাল প্রতীকে ১৪৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১১৮ ভোট।

নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন চারজন; জামানত হারিয়েছেন দুজন। এ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৯ জন। নির্বাচনে ১৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২২২টি। এর মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৭৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল আলীম চেয়ার প্রতীকে ৯৬২ ভোট ও জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৯২৩ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন; জামানত হারিয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪ হাজার ৯৭৭ জন। নির্বাচনে ১৩২ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪০টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে ৯ হাজার ৭০২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জাসদের মকছুদের রহমান মশাল প্রতীকে ২ হাজার ১৩২ ভোট, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী ছড়ি প্রতীকে ২ হাজার ১৩২ ভোট ও ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের শামছুদ্দোহা চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ ভোট।

নোয়াখালী-৬ আসনে প্রার্থী ছিলেন তিনজন; জামানত হারিয়েছেন দুইজন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৩২ জন। নির্বাচনে ৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৮৬টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুশফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে ৫ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোজাম্মেল হক ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩৫ ভোট।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here