দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেঘনার উপকূলবর্তী জেলা নোয়াখালীর ৩টি আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। আসনগুলো হলো নোয়াখালী-২ নোয়াখালী-৩ এবং নোয়াখালী-৪ সংসদীয় আসন। এই ৩টি আসনে নৌকা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সেনবাগ এবং সোনাইমুড়ীর একাংশ নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-২ আসন। এই আসনে এবারের নৌকার মাঝি হলেন বর্তমান সাংসদ ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মোরশেদ আলম। অপরদিকে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে আছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। দুজনই প্রতিদিন সমান তালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম মনে করেন, তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন করেছেন তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মানুষ তাকে বিজয়ী করবে। অপরদিকে কাঁচি প্রতীকের মানিক বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।
বেগমগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৩ সংসদীয় আসন। এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ মামুনুর রশীদ কিরণ। গত ১০ বছরে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় সাধারণ মানুষের কাছে সে সমাদৃত। এ আসনে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদ। দুজনেই প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন। নৌকার মাঝি কিরণ মনে করেন, জনগণ উন্নয়নের জন্য আবারো তাকেই নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে ট্রাক মার্কার জাবেদ মনে করেন, সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ ট্রাক মার্কাকে জয়ের জন্য বেছে নেবেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ বিগত ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ভোটের মাঠে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর এবং উপকূলীয় এলাকা সুবর্ণচর উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনে নৌকার মাঝি টানা তিনবারের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। অপরদিকে এ আসনে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। দুজনেই প্রতিদিন ভোটের জন্য জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। বর্তমান সাংসদ নৌকার একরাম মনে করেন, জনগণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌকাকে বিজয়ী করবে। অপরদিকে স্বতন্ত্র ট্রাক মার্কার শাহীন মনে করেন, জনগণ স্থানীয় নেতৃত্ব চায়, ভোটাররা স্থানীয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে ট্রাক মার্কাকে বিজয়ী করবে।