মানবাধিকারের সবক দেয়া যুক্তরাষ্ট্রেই নেই জীবনের নিরাপত্তা

0
100

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় একের পর এক বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন কিংবা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নাক গলানোর আগে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত বাইডেন প্রশাসনের।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি কফি শপে গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) হামলা চালায় একদল ডাকাত। এত প্রাণ হারান শেখ আবির হোসেন (৩৪) নামে বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী। এর আগে ২৪ জুলাই স্থানীয় সময় সকালে দেশটির অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরে একটি মার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন হাশিম নামে আরও এক বাংলাদেশি।

ওই ঘটনার ৫ দিন আগে ১৮ জুলাই মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্টলুইস শহরের একটি গ্যাস স্টেশনে দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা যান ইয়াজউদ্দিন আহম্মদ এক বাংলাদেশি যুবক।

এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিসংতায় অন্তত ৪২ হাজার ৪৯৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে প্রতিদিন গুলিতে গড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন। এর মধ্যে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশিরাও। এতে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন প্রবাসীরা। একের পর এক বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় চরম আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তারা।

এক প্রবাসী বলেন,
আমাদের আশেপাশে বিনা কারণে অনেককে বন্দুকধারীরা গুলি করে মেরে ফেলছে। রাস্তায় বের হলে আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকি। ঠিকঠাকভাবে বাসায় ফিরতে পারবো কিনা, বুঝতে পারি না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খবরদারি করা যুক্তরাষ্ট্রেই নেই সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা। প্রায় প্রতিদিনই দেশটির কোথাও কোথাও ঘটছে বন্দুক সহিংসতা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরাইল-গাজা সংঘাতসহ বিশ্বের যেকোনো ক্ষেত্রে সোচ্চার হলেও, নিজ দেশের বন্দুক হামলা ঠেকাতে একেবারেই উদাসীন মার্কিন সরকার।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here