আর মাত্র একদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পদ্মা সেতুর মাওয়া দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ইতোমধ্যেই মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানবাহনের লাইন পড়ে গেছে।
ঈদযাত্রার শেষ সময়ে পথে পথে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসহ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায়। এতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানবাহনের সারি।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই যানজট আর ভোগান্তি এড়াতে গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফিরতে শুরু করে ঈদে ঘরমুখী মানুষ। যারা বাকি রয়েছে তারা মঙ্গলবার সড়ক, মহাসড়ক, নৌপথ, রেলপথ দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
সরেজমিনে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে গাড়ির জটলা দেখা যায়। মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এক্সপ্রেসওয়ের দুটি লেনে মোটরসাইকেলের এই দীর্ঘ লাইন।
হিমশিম খাচ্ছে টোল প্লাজার লোকজন। আগে একটি বুথে টোল আদায় করা হতো। এবার দুটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। তারপরও এই ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। আগে যেখানে ৭টি যানবাহন দিয়ে টোল আদায় করা হতো, সেখানে ৬টি যানবাহন দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, মাত্র ৭ মিনিটে বিশাল পদ্মা পাড়ি দেয়া সম্ভব হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস দিয়ে। তার সেহেরি খেয়েই যাত্রা শুরু করেছেন তারা। বাসের টিকিট না পেয়ে অনেকে বাধ্য হবে, আবার অনেকে ইচ্ছে করেই উৎসবমুখর পরিবেশে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছেন।
টোল প্লাজার দায়িত্বশীলরা বলছেন, গত ঈদে ঘণ্টায় এক হাজার যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এবার তা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে, যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী পয়েন্টের ১২টি লেনেই দীর্ঘ লাইন। দুটি লেনে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে টোল দিতে পারছেন যাত্রীরা। তারা ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে।