জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকলেও শুধুমাত্র পাসপোর্ট দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা। সর্বজনীন পেনশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য রয়েছে প্রবাসী স্কিম।
আর প্রবাসীরা পেনশন স্কিমে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। যাতে তাদের বৈধপথে ডলারে চাঁদা পরিশোধে আগ্রহ বাড়ে। তবে প্রবাসীরা পেনশন স্কিমের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন দেশীয় মুদ্রায়ও।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রবাসী স্কিমে নিবন্ধন করেছেন ২১৫ জন। আর জমা দিয়েছেন ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মোট নিবন্ধন হয়েছে ৮ হাজার ৫৫১ জনের। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পেনশন স্কিমে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। এ পর্যন্ত যারা নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন, তাদের অর্ধেকের বেশি বেসরকারি চাকরিজীবী।
বেসরকরি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের জন্য প্রগতি স্কিমে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪১৯ জন নিবন্ধন পেয়েছেন। তাদের জমা দেওয়া মোট চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। দেখা যায়, জনপ্রতি গড়ে চাঁদা দিয়েছেন ৫ হাজার ৫২১ টাকা।
কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি প্রভৃতি পেশার ব্যক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয়েছে সুরক্ষা স্কিম।
এই স্কিমে নিবন্ধন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ২ হাজার ৯০৭ জন। তাদের জমা চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। জনপ্রতি তাদের জমা করা চাঁদার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৪ টাকা।
তবে জনপ্রতি গড় চাঁদা দেওয়ায় সবার নিচে রয়েছেন দারিদ্র্য সীমার নিচের মানুষ। তাদের স্কিমে গড়ে চাঁদা জমা পড়েছে ১ হাজার ৪৪৪ টাকা।
যাদের বর্তমান আয় সীমা বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা তাদের জন্য সমতা স্কিম। এই স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৯১০ জন। জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। জনপ্রতি গড়ে চাঁদা দিয়েছেন ১ হাজার ৪৪৪ টাকা।
এই স্কিমের মাসিক চাঁদার হার ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্কিম গ্রহণকারী দেবেন ৫০০ টাকা এবং বাকি ৫০০ টাকা দেবে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর প্রথমদিনেই নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেন এক হাজার ৭০০ জন। তারা প্রায় ৯০ লাখ টাকা চাঁদা জমা দেন।
পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এই দুইদিনে আরও ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি চাঁদা পরিশোধ করে পুরো আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম তিনদিনেই নিবন্ধন করেন ৪ হাজার ৩৯০ জন। আর চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এরপর ২০ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন আরও ৪ হাজার ৩৯০ জন। আর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৮ হাজার ৫৫১ জন।