তীব্র গরমের পর বৃষ্টি মানেই গরম থেকে মুক্তি। তবে এ বছর বৃষ্টি নেই নামেই শুধু বর্ষাকাল। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সময় সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা, হজমের গোলমাল লেগেই থাকে। তাই এ সময় খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যাতে শরীর সুস্থ থাকে এবং কিছু খাবার বর্জন করা উচিত যাতে কোন শারীরিক সমস্যা না হয়।
খাওয়া-দাওয়ার পরে আমরা অনেকেই দই খেতে পছন্দ করি। পুষ্টিবিদদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দইয়ের জুড়ি নেই । এতে থাকা প্রোবায়োটিক শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করে।
তবে সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী বর্ষাকালে দই না খাওয়াই উচিত। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে বর্ষায় দই শরীরকে দুর্বল করে। আর মৌসুমি অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে।
শাস্ত্র অনুযায়ী, দই ঠাণ্ডা শক্তি বর্ধক। তবে এই মৌসুমে দই খেলে হজমক্রিয়া দুর্বল করে নানা রকম সমস্যা যেমন- গ্যাস ও বদহজম সৃষ্টি করতে পারে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে দই খাওয়ার সময় এক চিমটি কালো গোল মরিচ, ভাজা জিরা বা মধু ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা, অন্যথায় হজমক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
বর্ষাকালে নিয়মিত দই খেলে শ্বাস যন্ত্রের জটিলতা যেমন- ঠাণ্ডা, কাশি ও কফের সৃষ্টি করতে পারে। এটা আবহাওয়ার আর্দ্রতা ও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার কারণে হতে পারে যা অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ায়।
এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
বর্ষাকালে দইয়ের সাথে সামান্য ভাজা জিরা গুঁড়া, কালো গোল মরিচ, বিট লবণ বা মধু যোগ করা ভালো। এতে ঠাণ্ডার ভারসাম্য এবং হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।