বিরোধী দলেই যাচ্ছে ইমরানের দল

0
235

শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত নেতারা। কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে (সংসদে) বিরোধী দল হিসেবে যোগদানের জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ইমরান খান। খবর জিও নিউজের।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদের এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে বিরোধী দল হিসেবে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

একইসঙ্গে ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলেও জানান তিনি। তবে, ২০২২ সালে যেসব রাজনৈতিক দল ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তাদের সঙ্গে জোট গঠন করবে না বলে জানান এই পিটিআই নেতা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচনে ইমরান খানের মনোনীত ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে নির্বাচন করেন। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে পিটিআই ৯২টি আসনে জয় পায়।
তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলও পিটিআইয়ের স্বতন্ত্রদের যে কোনো একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে এবং ওই দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।

পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই পায়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। জোট করে সরকার গঠনের আলোচনা চললেও এ জোট কতদিন টিকবে তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। এবার জোট সরকার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’র জিডিএ প্রধান পীর সৈয়দ সিবগাতুল্লাহ শাহ রুশদী। তার দাবি, জোট সরকার হলেও ৮-১০ মাসের বেশি টিকবে না। এরপর সম্ভবত জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন জারি করা হবে।

এরমধ্যেই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের পিটিআই। ১৮০টি আসনে জয় পেলেও বাকি আসনগুলোর ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি দলটির। এ অবস্থায় এ বিক্ষোভে যোগ দিতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানায় পিটিআই।

অন্যদিকে ব্যাপক আলোচিত এ নির্বাচন বাতিল চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন আলী খান নামের এক নাগরিক। একইসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যার শুনানি হবে সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি)। এরআগে বৃহস্পতিবার ৫৮টি আসনের ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়।

Facebook Comments Box

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here