মানুষ খুন বিএনপির একমাত্র গুণ: শেখ হাসিনা

0
74

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজ হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও করা। আগের নির্বাচনগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে তা বানচাল করার পাঁয়তারা করেছিল তারা। তবে দেশের জনগণের প্রতিরোধের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। ওই সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট আজকেও একই কাজ করছে। দেশবাসীর প্রতি এদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা তো মানুষের জন্য কাজ করে না; মানুষ খুনই বিএনপির একমাত্র গুণ।’

সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মানুষের জীবন মান উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়নটা এখন দৃশ্যমান। আর বিএনপির কাজ হচ্ছে ধ্বংস করা, বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘যতদূরেই থাকুন না কেন, আপনারা আছেন আমার হৃদয়ে। খুলনায় আওয়ামী লীগ সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তারপরও আজ যেগুলো উদ্বোধন করা হলো সেগুলো খুলনাবাসীর জন্য উপহার। একটা সময় বিএনপি ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল; আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার তা চালু করেছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। বিএনপির কাজ হচ্ছে ধ্বংস করা। বিএনপি মানে সন্ত্রাস। বিএনপি-জামায়াতের কাজ হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা।’

‘বিএনপি মানেই সন্ত্রাস, অত্যাচার, নির্যাতন। ২৮ অক্টোবর পুলিশকে লাঠিপেটা করে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে কোনো মন্যুষত্ব নেই। বিএনপি-জামায়াত কোনো মানুষের মঙ্গল করতে পারে না। মানুষ খুনই বিএনপির মূল গুণ। অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতেনাতে ধরতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে। যাতে তারা কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারতে না পারে। যারা আগুন দিয়ে মানুষকে মারে তাদের কখনও ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি কী ইসরাইলের কাছে শিক্ষা নিয়েছে নাকি? তারা তো একইভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। বিএনপি আসলে দেশের ধ্বংস চায়,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস সহিংসতায় কারা জড়িত, খুঁজে বের করতে হবে। অতীতের কোনো সরকার গার্মেন্টসকর্মীদের বেতন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি; তবে বর্তমান সরকার সেটি করেছে। চাওয়া- পাওয়ার কিছু নেই আমার, মানুষ ভালো থাকলেই শান্তি পাই। নৌকা মার্কাতে ভোট আগেও দিয়েছেন, আর ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’

‘আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ওই মুণ্ডুহীন দল দেশের নির্বাচন বানচাল করতে চায়। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগুন সন্ত্রাসীদের হাতও আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কেননা, এ নৌকাই দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ,’ বলেন শেখ হাসিনা।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টায় জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এরপর খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। সমাবেশস্থল ও আশপাশে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে একদিনের ঝটিকা সফরে খুলনা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।

এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর যোগ দেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here