বিপিএলে নিজেদের সমর্থকদের সামনে প্রথম জয়ের খোঁজে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নানা সমালোচনার পরেও মাশরাফীর নেতৃত্বে আস্থা সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির। যতই দিন যাবে ম্যাশ নিজেকে ফিরে পাবেন বলে আশা ম্যানেজার নাফিস ইকবালের। অন্যদিকে, হারের বৃত্তে থাকা সিলেটকে হালকাভাবে নিচ্ছে না চট্টগ্রাম। সিলেটে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ম্যাচ শুরু হবে বেলা দেড়টায়।
মিরপুর থেকে সিলেট ভেন্যু পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি সিলেট স্ট্রইকার্সের। নিজেদের সমর্থকদের কাছে এসেও জয় বঞ্চিত তারা। দলের বাজে পারফরম্যান্স তো আছেই তার ওপর অধিনায়ক মাশরাফীর ফর্ম নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। ঢাকা পর্বে তো সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল প্রশ্ন তুলেছিলেন বিপিএলে ম্যাশের খেলার যৌক্তিকতা নিয়ে। এমনকি মাশরাফী নিজেও বলেছেন আনফিট হয়ে খেলাটা আদর্শ পরিস্থিতি নয় ক্রিকেটারদের জন্য।
আশা ছিল সিলেট পর্বে এসে ভাগ্য ফিরবে। তবে সেখানেও হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। চায়ের রাজ্যে পা রেখেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৫২ রানে হেরেছে মাশরাফীর দল। চতুর্থ ম্যাচে তাদের সামনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচের আগেও ঘুরেফিরে আলোচনায় মাশরাফী প্রসঙ্গ। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানালেন নেতৃত্বগুণেই মাশরাফীকে বিপিএলে চায় মালিকপক্ষ। দিন যত গড়াবে ম্যাশ ততই জ্বলে উঠবে বলে আশা নাফিস ইকবালের।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মাশরাফী কী করতে পারে। সেটা শুধু খেলা দিয়েই নয়, অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্বগুণ দিয়েও। কিছুসময় টিমে এই লিডারশিপের জন্যও তাকিয়ে থাকতে হয়। ওইদিক থেকে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক যারা আছেন তারা মাশরাফীকে একাদশে চান। প্রস্তুতির কথা যদি বলেন, কিছুদিন আগে একটা জাতীয় নির্বাচন ছিল সে জন্য হয়তো সে ওইভাবে প্রস্তুত হতে পারেনি। তবে যদি শেষ ম্যাচ দেখেন তবে সে কিন্তু সত্যিই ভালো খেলেছে। তার বোলিং ভালো হয়েছে। তাকে ফিল্ডিংয়ে চৌকস লেগেছে। আমার মনে হয়, যত দিন যাবে সে ততই ভালো অবস্থায় ফিরে আসবে।’
গত আসরের রানার্সআপ সিলেট এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ শেষে কোন পয়েন্ট ঝুলিতে যোগ করতে পারেনি। টেবিলের তলানীতে থাকা সিলেটের বিশ্বাস একটা জয় বদলে দিতে পারে দলের মানসিকতা। টানা হারের পরেও দলকে চাপমুক্ত রাখছে সিলেট।
নাফিস বলেন, ‘শেষ তিনটা ম্যাচের হয়তর তিনটাই আমাদের পক্ষে ছিল, কিন্তু সেখান থেকে বের করে আনতে পারিনি। এই মুহূর্তে আমাদের দিক থেক যতটা পারা যায় তাদের রিল্যাক্স রাখার, ক্লিয়ার রাখার চেষ্টা করছি। আশা করি তারা মাঠে এসে তাদের শতভাগ দিতে পারবে।’
এদিকে, হারের বৃত্তে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না চট্গ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টানা জয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে শুভাগত হোমের দল। এ ম্যাচেও সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় বন্দর নগরীর দলটি। মেয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় ফিরেছেন জিয়াউর রহমান। জানালেন নিজেও চান দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে।
জিয়া বলেন, ‘আমার বাচ্চাটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ্র অশেষ রহমত এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ, ও এখন অনেক ভালো আছে। আমাদের টিমটা খুব ভালো খেলছে। টিম কম্বিনেশন ভালো, মোমেন্টামও ভালো। অলরেডি তিনটা ম্যাচে জিতেছি। আমি আশাবাদী পরবর্তী ম্যাচেও এই কম্বিনেশন থাকবে এবং ভালো খেলবে।’