ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে আবারও ইন্টারনেট ও মোবাইল যোগাযোগ সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলটি। এমন ভয়াবহ ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতির মধ্যেই গাজার হাসপাতাল এলাকায় বোমা হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
গাজায় ইন্টারনেট বিপর্যয়ের বিষয়টি নেটব্লক নামে একটি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রথমে সামনে আনে। পরে ফিলিস্তিনি টেলিকম কোম্পানি প্যাল্টেলও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এবারের ইন্টারনেট বিপর্যয় নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর তিনবার ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বিচ্ছিন্ন হলো গাজায়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ইন্টারনেট বিপর্যয়ের কারণে আমরা ইউএনআরডব্লিউএ টিমের বেশিরভাগ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় হামাস শাসিত গাজার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ বলেছেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন হাসপাতালের চারপাশে তীব্র বোমা হামলা হচ্ছে। বিশেষ করে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার আশপাশে ভারী বোমা হামলা হয়েছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গাজার হাসপাতালের আশপাশে তীব্র হামলা ইসরায়েলের
গাজা যুদ্ধ নিয়ে আবারও বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
এর আগে রোববার দিনের শুরুতে গাজা শহরের আল কুদস হাসপাতালের পাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয় এবং হামলায় হাসপাতাল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করে আসছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ব্যবহার করে আসছে হামাস। যদিও ইসরায়েলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।