ডলার সংকট কাটাতে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের পণ্য আমদানিতে রুপিতে এলসি উদ্বোধনের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রোপোল বন্দর হয়ে ১ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৬০ রুপি মূল্যের মোটর যন্ত্রাংশের চারটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
এসব পণ্যের আমদানিকারক নিতা কোম্পানি লিমিটেড এবং রপ্তানিকারক ভারতের টাটা মটরস। এর আগে, গত ১১ জুলাই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক সংগঠনের সঙ্গে একটি বৈঠকে রুপিতে আমদানি বাণিজ্যের এলসি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বৈশ্বিক মন্দায় ডলার সংকটে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা চাহিদামতো পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারেনি। এতে বাংলাদেশের শিল্প-কলকারখানার উৎপাদনসহ দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সরকার রুপিতে পণ্য আমদানিতে সম্মত হয়। নতুন এই পদ্ধতি দ্রুত পণ্য আমদানি ও ডলারের বিকল্প হিসেবে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমদানিকারক নিতা কোম্পানি লিমিটেডের যশোর এরিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান রুপিতে আমদানি করা প্রথম পণ্যের চালান বন্দরে প্রবেশের তথ্য নিশ্চত করেছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য হয়। তবে এর মধ্যে ভারত থেকে মাত্র দুই বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় আসে। অর্থাৎ দুই বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হতে পারে রুপিতে। তবে ভারতে রপ্তানি বাড়াতে পারলে সে হিসাব পাল্টে যাবে। ডলারের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসবে।’
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘রুপিতে আমদানি ব্যয় মেটানোর বিষয়ে গত এক দশক আগে আলোচনা শুরু হয়। তবে গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ডলার সংকট দেখা দিলে রুপিতে পণ্য আমদানির বিষয়টি নতুন করে দু’দেশের সরকারের কাছে প্রাধান্য পায়।’