রোজায় দীর্ঘ সময় পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে অনেকেই পানিশূন্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া উত্তপ্ত দিনের বেলাতে রোজা রাখতে গিয়ে পানিশূন্যতায় ভোগার শঙ্কা বেশি থকে।
রোজা রাখা স্বত্ত্বেও নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করুন। এ সময় অনেকেই পানিশূন্যতায় ভোগে। তাই পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।
পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- অতিরিক্ত মুখ বা ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এর থেকে তৈরি হতে পারে নানা জটিলতা। তাই চলুন, জেনে নিই রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করণীয়-
ইফতার এবং সেহরির মধ্যে আট থেকে ১২ কাপ পানি পান করুন। ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করা ভালো, কারণ এটি শরীর দ্বারা দ্রুত শোষিত হয়।
রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে প্রতিদিন স্যুপ খেতে পারেন। শরীরে তরলের চাহিদা পূরণের ভালো উৎস হতে পারে খাবারটি।
তরমুজ, টমেটো, শসা, আঙুরের মতো ফল ও সবজিতে অনেক পানি থাকে, যা তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে।
ইফতারে উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে তৃষ্ণা বাড়ে। এর পরিবর্তে ফল খেতে পারেন, যা দেহে তরলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটায়।
ক্যাফেইন শরীরের তরল শুষে নিয়ে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে রমজানে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের পানীয়র মধ্যে এনার্জি ও কার্বনযুক্ত পানীয়, চা ও কফি রয়েছে। ধূমপান মুখকে শুষ্ক করে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে ধূমপানও এড়িয়ে চলুন।
গরমের দিনে সূর্যতাপে ব্যায়াম করলে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের চাহিদা তৈরি হয়। এ কারণে রোজায় ব্যায়ামের সবচেয়ে ভালো সময় হলো ইফতারের পর। কারণ ইফতারের মধ্য দিয়ে শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে শক্তি পায়।