সারা রাত ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি একটি প্রচলিত আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি এবং এর মাধ্যমে কিশমিশের পুষ্টিগুণ আরও সহজে শরীরে শোষিত হয়।
১. হজম শক্তি উন্নত করে: ভেজানো কিশমিশে ফাইবারের পরিমাণ বেশি সক্রিয় হয়, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর।
২. রক্ত পরিষ্কার করে: কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন থাকে, যা রক্তকে বিষমুক্ত করতে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়: ভেজানো কিশমিশ লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
৪. এনার্জি প্রদান করে: কিশমিশ প্রাকৃতিক শর্করা, যেমন ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজে সমৃদ্ধ। এটি দ্রুত শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি কমাতে কার্যকর।
৫. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বক থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে।
৭. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: ভিজানো কিশমিশ খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
খাওয়ার নিয়ম-
১. রাতে ৮-১০টি কিশমিশ এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২. সকালে খালি পেটে কিশমিশ এবং সেই পানি পান করুন।
সতর্কতা-
অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম। তাছাড়া আপনার যদি কোনো বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে এটি গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।