নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন কারীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিভিন্ন হুমকি দেয় আসামিসহ এক দল সন্ত্রাসরা।
এ হুমকির প্রতিবাদে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের বটতলী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে এলাকাবাসী জানান, এমন পাশবিক নির্যাতনকারী স্থানীয় চরওয়াপদা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূইঁয়া, ইউপি সদস্য তানভীর হোসেন, তার ভাই দিদার, মুল হোতা শাহনেওয়াজ (গ্যাস লাইট শাহানাজ), আব্দুল গণি, আব্দুল, খোকন, ফখরুল, মেহরাজ হোসেন মিরাজসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর ছেলে ইউপি সদস্য শেখ রিপন চৌধুরী বলেন, তার বাবা একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিয়ে নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী থানায় মামলা দায়ের করায় আসামিরা গত শুক্রবার রাতে বাড়ী ফেরার পথে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে চোখ বেঁধে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী খবর পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে নিয়ে গেলে শনিবার অস্রপাচার করে ওই টর্চ লাইটটি বের করে চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মামলা করার পর আসামিরা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি এ হুমকির প্রতিবাদ জানাই। এবং আসামিদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানাই।
এসময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদিন।
চরজব্বর থানা পুলিশ জানিয়েছে এঘটনায় মুল আসামি শাহনেওয়াজকে ঘটনার পরদিন (শনিবার) আটক করা হয়েছে। এছাড়া আব্দুল গণি নামের আরেক আসামিকেও আটক করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।