বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে ২ হাজার ৩৭৩ অমুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করা হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন করে ১০ হাজার ৬১৭ জনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। একই সময়ে ৩ হাজার ৮১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট সংশোধনও করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। বৈঠকে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সময় পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেওয়া হয়েছিল। যাচাই-বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিল হয়েছে। তবে ওই সময়কার তালিকায় কিছু ছিল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা আগে হয়তো কোনো কারণে বাদ পড়েছিলেন তাদের বাদ দেওয়া হয়নি।
শাজাহান খান বলেন, বিভিন্ন সময় বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুজিব নগর সরকারের কর্মচারীদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জামুকা এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৯১ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার (বেসামরিক) গেজেটভুক্তির সুপারিশ করে এবং ৩ হাজার ১৯০ জন অমুক্তিযোদ্ধা গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ করে।
জামুকা প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, মুজিবনগর সরকারের ১৪৬ জন কর্মচারী, ২৩৮ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা), ২৯ জন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে গঠিত সংস্কৃতি সংগঠনের শব্দসৈনিক, ৪৪ জন বাংলাদেশ হাসপাতাল বিশ্রামাগার নির্মাণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী মেডিকেল টিমের সদস্য, ৬৮৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৫৫ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্তির সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম, বীরউত্তম এবং এ বি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।