কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়াসহ ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’ ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন ইফতেখারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের’ পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। প্রতিটি হতাহতের ঘটনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার ও বলপ্রয়োগের ঘটনা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
গত শুক্র, শনি ও রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাত সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুম এবং পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাদের ডিবির হেফাজতে আনা হয়েছে।
সমন্বয়কারীদের মধ্যে আরিফ সোহেল ছাড়া বাকি ছয়জন রোববার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করার কথা বলেন। এ খবর প্রকাশের পর রাতে অন্য সমন্বয়কের কয়েকজন ভিন্নমত প্রকাশ করে বিবৃতি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।