৭২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা

0
362

বিদায়ী বছরের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরে ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্য খাত থেকে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং বাকি ১০ বিলিয়ন ডলার আসবে সেবা খাত থেকে।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, ডলার ও জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াসহ নানা টানাপোড়েনের মধ্যেই রেকর্ড রপ্তানি আয় দেখেছে বাংলাদেশ।

বিদায়ী অর্থবছরে অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। এর আগে এত রপ্তানি কখনো দেখেনি বাংলাদেশ।

এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গতবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব এবং আমাদের এই বক্তব্যের সাথে ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করেছেন।

টিপু মুনশি বলেন, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি এবং তাদের দাবী পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছর উপলক্ষ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো বিরুপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।

টিপু মুনশি জানান, ২০২৩ সালের শেষ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার বেশীরভাগ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। ‍এই পূর্বাভাস ঠিক থাকলে এসময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

‘আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত যেসব পূর্বাভাস দিয়েছে, তা বিবেচনায় নিলে চলতি বছরের মন্দা অবস্থা বছরের শেষ দিকে কাটতে শুরু করবে এবং আগামী বছরে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।

Facebook Comments Box

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here