ডিমের কুসুম খাওয়া কি ক্ষতিকর?

0
19

কোলেস্টেরেল ও ফ্যাটের ভয়ে ডিমের কুসুম খাওয়া অনেকেই এড়িয়ে চলেন। যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করেন কিংবা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও ডিমের কুসুম খেতে চান না। ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুম ফেলে দেন। সত্যি কি ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর?

ডিমের কুসুম শরীরের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর — তা জানতে হলে আগে জানতে হবে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমে কী কী পুষ্টিগুণ আছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন বি২ আছে।

আর ডিমের কুসুমে আছে ভিটামিন এ, ই, ডি, কে, ওমগা থ্রি (হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড), সেলিনিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি১২, আয়রন। ডিমের কুসুমের এ পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, চোখ, চুল, নখ, হাড়, মস্তিষ্ক ও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

একটি বড় আকারের ডিমে ৫৫ ক্যালোরি, ২.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৫ গ্রাম চর্বি এবং ০.৬১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলও আছে, যা শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।

এছাড়া, ডিমের কুসুমে ‘লুটিন’ (গর্ভাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকিকে হ্রাস করে) ও ‘জিযান্থিন’ নামক দুই ধরনের ক্যারাটেনোয়েডস থাকে, যা চোখকে অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

যারা মনে করেন, ডিমের কুসুম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তারা ভরসা রাখতে পারেন মার্কিন হারভার্ড হেলথ এডুকেশন গবেষণার ওপর। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভাস থেকে পাওয়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট থেকে লিভার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল তৈরি করে শরীরে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এ ক্ষতিকর কোলেস্টেরল তৈরিতে ডিমে থাকা সামান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ( ১.৫ গ্রাম) কোনো অবদান নেই। তাই নিয়মিতই খেতে পারেন ডিমের কুসুম।

ডিমের কুসুমে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকারিতাই বেশি বলা যায়। এটি হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে; রক্তে লোহিত কণিকার বৃদ্ধি ঘটায়। তাই ফেলে না দিয়ে ডিমের কুসুম খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here