নতুন প্রাণের উচ্ছ্বাসে মাতবে বাঙালি। বাংলা নববর্ষ বরণে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। দিনরাত এক করে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এবার বড় হবে যাত্রাপথ।
চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি।
সাম্য ও সহিষ্ণুতার প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা। বাংলা নতুন বছরকে বরণে চলছে তারই প্রস্তুতি। রং-তুলির আঁচড়, আলপনা আর প্রতিকৃতি নির্মাণে ব্যস্ত চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতার ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ লাইনটিকে করা হয়েছে এবারের প্রতিপাদ্য। মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার দেখা যাবে বাঘ ও পেঁচার মুখোশ। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে হাতি। বাহারি রঙের মুখোশ মনে করিয়ে দেবে বাংলার ঐতিহ্য।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা বলছেন, সবাই কাজ ভাগ করে নিয়েছেন। তাই দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। সেইসঙ্গে বৈশাখ ঘিরে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে বন্ধনটা ভালোভাবে তৈরি হয়েছে।
শোভাযাত্রার প্রস্তুতির বিষয়ে জানাতে রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে চারুকলায় অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। আয়োজকরা জানান, সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার বড় হয়েছে যাত্রাপথ।
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘রিকশা আর্টকে ভিত্তি করে পোস্টার থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়েছে।’
ঢাবির প্রোভিসি ড. মুহাম্মদ সামান বলেন, ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের দেশটাকে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪৩১-এর দায়িত্বে চারুকলা অনুষদের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। নতুনের নিমন্ত্রণে প্রকৃতি সাজবে বর্ণিল সাজে–এমন প্রত্যাশাই সবার।