টিকটকার মামুনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন

0
74

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

এর আগে সোমবার রাতে মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফারহাদের দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক সময় সংবাদকে বলেন, টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে মামুন কুমিল্লায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ আমাদেরকে তাকে গ্রেফতারের একটি রিকুইজিশন পাঠায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় আমরা দাউদকান্দি টোল প্লাজায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি। তার ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি টিম আসলে আমরা মামুনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করি।

ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। এরপর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করত। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here